পড়ালেখার পাশা-পাশি আয় করার উপায় সমূহ

earning

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের জীবন শেষ হতে ২৫-২৬ বছর বা তারও বেশি লেগে যায়। আর বাইরের দেশে এই বয়সে মানুষ বিলিয়নিয়ার হয়ে যায়। এখন ভাবুন তো, তারা যদি শুধু লেখাপড়াই করত তাহলে কবে এই টাকা আয় করত?

যেসব পেশা আপনাকে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা আয় করার সুযোগ করে দিতে পারে সেগুলোর ভেতরে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি এখানে উল্লেখ করে দিচ্ছি। চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

  • টিউশন: শিক্ষার্থী হিসেবে টিউশনের চেয়ে ভালো আর কোনো পেশা নেই। আপনি যদি দক্ষ শিক্ষক হন তাহলে অবশ্যই টিউশন করতে বলব।
  • ফ্রিল্যান্সিং: বর্তমান সময়ে এসে অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করে দিয়েছে।
  • ফটোগ্রাফি: আপনি যদি ফটোগ্রাফি পছন্দ করে থাকেন এবং একজন ভালো ফটোগ্রাফার হন তাহলে আমি বলব এটাকে পেশা হিসেবে নিয়ে নেন। আগামীতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
  • কৃষি: আপনি গ্রামে থাকলে এবং আপনার আয়ত্বে কিছু জমি থাকলে কৃষি করতে পারেন। কিছুটা আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করতে পারলে লাভবান হতে পারবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমিও একজন কৃষি উদ্যোক্তা।
  • অনলাইন ট্রেডিং: অনলাইন ট্রেডিং নিয়ে আপনার ধারণা পাকাপোক্ত থাকলে আপনি কিছু মূলধন নিয়ে এখনই ট্রেডিং শুরু করতে পারেন। তবে লোভে পড়ে সব টাকা খোয়াতে পারেন। সেদিক থেকে সতর্ক থাকবেন।
  • পশুপালন: বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে, সাথে বাড়ছে আমিষের চাহিদা। আপনি যদি সেভাবে সুযোগ পান তাহলে পশুপালন শুরু করতে পারেন। আশা করি লাভবান হবেন।
  • পাখি পালন: দেশি বিদেশি সৌখিন পাখি পালন করেও আপনি ভালো মানের টাকা আয় করতে পারেন।
  • কন্টেন্ট তৈরি: মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করে ফেসবুক ইউটিউবে আপলোড করে আপনি একটি ভালো মানের আয় সেখান থেকে নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
  • ক্যাটার্স: স্টুডেন্ট ক্যাটার্সের এখন খুব চাহিদা। একটু পরিপাটি এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ছেলেরা ক্যাটার্স থেকে তাদের নিজের খরচ চালিয়ে নিতে পারে।

আপনি কোন পরিবেশে আছেন আমি জানি না। আপনার কাজের ক্ষেত্র আপনাকেই তৈরি করতে হবে। চোখ খোলা রাখুন, বাদবাকি আপনি নিজেই বুঝে যাবেন৷

Post a Comment

Previous Post Next Post