Digital marketing কী ?

 মার্কেটিং বিষয়টা ছোট বড়ো সকলে একটু হলেও বোঝি। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটি (Digital marketing) বিষয়টি অনেকের কাছে একদম নতুন। কারোর আবার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটু হলে ধারণা রয়েছে। যাই হোকনা কেন আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় বস্তু হলো ডিজিটাল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটি (Digital marketing).

মার্কেটিং (marketing) বলতে আমার উৎপন্ন দ্রব (product) এবং সার্ভিসস বিক্রি করাকে বোঝায়। অর্থাৎ কোনো কোম্পানি তাদের উৎপন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস জনগণের যাচ্ছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রাহক (customer) খোঁজে , এই কাস্টমার বৃদ্ধি করানোর প্রসেসটাকে মার্কেটিং বলা হয়।

হয়তো অনেকে দেখবেন যে আপনার এলাকায় নতুন কোনো শপিং মল, রেস্টুডেন্ট, ডাক্তারে চেম্বার, নতুন দোকান খুলে প্রথমে মাইকে করে অথবা দেওয়ালে পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার করে, এই বিষয় তাকে সাধারণ ভাবে মার্কেটিং বলা হয়।

অর্থাৎ মার্কেটিং এমন একটা সাবজেক্ট যেটাকে ছাড়া বিসনেস (Busines) এর উন্নতি (Growth) করা কখনো সম্ভব নয়। যদি আপনি আপনার উৎপন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস মার্কেটে বিক্রি করতে না পারেন তাহলে আপনি কি ইনকাম করবেন, আপনার বিসনেস তো ডুবে যাবে। তাই বিসনেস বাড়ানোর জন্য মার্কেটিং খুই গুরুত্বপুণ্য ভূমিকা পালন করে।

যখন ইন্টারনেট জনপ্রিয় ছিল না তখন মার্কেটিং এর মাধ্যম ছিল – TV, Radio, খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন (advertisement) ও গাড়ি করে প্রচার ইত্যাদি। কিন্তু যখন থেকে ইন্টারনেট জনপ্রিয় হয়েছে তখন থেকে মার্কেটিং এর দুনিয়ায় বিপ্লব এসেগেছে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) এর মাধ্যমে।

বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের জীবনে সঙ্গে এমন ভাবে জড়িত আছে যে হয়তো আমাদের পক্ষে একদিন ইন্টারনেট ছাড়া থাকা মুশকিল। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ছোট বড়ো সব ধরণের business দ্রুত হরে উন্নতি করছে।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) করার জন্য আগ্রহী হন তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing):

ইলেকট্রনিক ডিভাইস (কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মর্টফোনে, ট্যাব ) আর ইন্টারনেট কে ব্যবহার করে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে গিয়ে উৎপন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর মার্কেটিং করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) বলে।

বর্তমান সময়ে ১০০ টা মানুষের মধ্যে ৯৫ টি মানুষের যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে একাউন্ট অবশ্যই রয়েছে এবং দিনে অন্তত ২ ঘণ্টা সময় সেখানে অতিবাহিত করে করছে। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে চলছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

আপনি লক্ষ করবেন যে, কোনো একটি সোশ্যাল মিডিয়াতে (Youtube, Facebook, Instagram, Twitter) ভিডিও দেখছেন এবং ভিডিওর মধ্যে মাঝে মাঝে Ads আসে এটি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর রূপ। অর্থাৎ ads এর মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসেস প্রচার (promot) করছে।

কীভাবে Digital marketing করবেন:

এখনকার সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এতটাই সহজ হয়েগেছে, কারোর যদি কম্পিউটার সমন্ধে ধারণা থাকে তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) করার জন্য সবার প্রথমে প্লাটফর্মের প্রয়োজন। প্লাটফর্ম ছাড়া কখনো আপনি জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না, তাই প্লাটফর্ম খুবই গুরুত্বপুন্ন।

ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) এর মাধ্যমে লক্ষ গ্রাহক (target coustomar) এর কাছে পৌঁছানো জন্য একটি ইমপোর্টেন্ট সাবজেক্ট হচ্ছে কীওয়ার্ড (Keyword). কীওয়ার্ড সম্পর্কে হয়তো অনেকের ধারণা নেই, কীওয়ার্ড হচ্ছে সেই শব্দ (ওয়ার্ড) যেগুলি দিয়ে আমরা গুগলে, ইউটুবে, ফেসবুকে লিখে সার্চ করি ।

কীওয়ার্ড জিনিসটা বুঝতে পারলেন না তো, চলুন আরো ডিটেলসে জানা যাক,

ধরুন আপনি ইউটুবে বা গুগলের সার্চে বাড়ে গিয়ে সার্চ করলেন বিরিয়ানি রেসিপি, আপনি যখন ভিডিও বা আর্টিকেল দেখবেন তখন আপনার সামনে Cooking সম্পর্কিত কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলোর Ads দেখাচ্ছে। আবার ধরুন আপনি Mintra বা flipkart এর মতো e-commerce সাইটএ টিশার্ট কেনার জন্য গিয়েছিলেন, এবং কোনো কারণে কেনেন নি। এরপরে আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে বা ওয়েব ব্রাউসিং করছেন তখন দেখবেন আপনার সামনে শুধু ওই টিশার্টটির Ads দেখাচ্ছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে, যেগুলো সবসময় Paid. অর্থাৎ আপনাকে টাকা দিয়ে Ads চালাতে হবে, এবং তারা আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে খুব অল্প সময়ে টার্গেট দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেবে। অফলাইনের তুলনায় এটা অনেক সহজলোভ্য।

Google Adsword:

গুগল হলো বিশ্বের নম্বর ওয়ান সার্চ ইঞ্জিন। এখানে আপনি যেকোনো বিষয়ে সার্চে করলে কিছু না কিছু তথ্য অবশ্যই পাবেন Adword হলো গুগল দ্বারা পরিচালিত বিসনেস ম্যানদের Ads জন্য advertisement run করার প্লাটফর্ম। এখানে আপনি একাউন্ট বানিয়ে আপনার ছোট বড়ো সব ধরণের বিসনেস ads চালাতে পারেন, খুব অল্প খরচে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এর পৌঁছাতে পারেন। Adword এর Ads Google এবং Youtube থাকা দর্শকদের টার্গেট করে।

Meta Business Suite:

Facebook হলো বিশ্বের নম্বর ওয়ান সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এই ফেসবুকের মধ্যে কোটি কোটি লোক সময় কাটায়। এই সুযোগ টাকে ব্যবহার করে ফেইসবুক নিয়ে আছে তাদের নিজস্ব advertisement run করার প্লাটফর্ম Meta business suite. এই প্লাটফর্মে একাউন্ট বানিয়ে নিজের বিসনেস প্রোডাক্ট বা সার্ভিস খুব অল্প সময়ের মধ্যে টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। Meta Business Suite এর উপর run করা Ads গুলো Facebook এবং Instagram এর দর্শকদের দেখানো হয়ে থাকে।

Twitter Ads:

সোশ্যাল মিডিয়ার দিক থেকে Twitter ও কম নয়। সারা বিশ্ব জুড়ে ৩৯৬ মিলিয়ন User রয়েছে। এই সুযোগ তাকে ফেসবুকের মতো টুইটার ব্যবহার করছে। টুইটার বিসনেস ম্যানদের বিসনেস গ্রও করার জন্য তাদের নিজস্ব Digital marketing প্লাটফর্ম হিসাবে Twitter Ads লঞ্চ করেছে। এখানে অন্যান্য Ads run platform এর মতো একাউন্ট বানিয়ে নিজের বিসনেস বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন।

Affiliate marketing:

Affiliate Marketing হলো Digital marketing এর এমন একটি রূপ যেখানে আমার আপনার মতো লোকে commission এর বিনিময়ে, কোম্পানি তার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করিয়ে নেয়। 

স্পন্সরশিপ:

স্পন্সরশিপ মার্কেটিং এর জন্য কোম্পনি এমন কিছু Video বা article influencer খুঁজে যাকে দিয়ে কোম্পানি নিজের Business এর সম্পর্কে প্রচার করিয়ে নেয়।

Video/ Article Creation:

কোম্পানি তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে একাউন্ট / ওয়েবসাইট বানিয়ে ভিডিও ও আর্টিকেল লিখে নিজের প্রোডাক্ট নিয়ে অডিয়েন্স আর কাছে পৌঁছায়। এটি একটি ফ্রি মেথড। এক্ষত্রে অডিয়েন্স তৈরী করতে বহু সময় লাগে। তাই সঠিক সময়ে অডিয়েন্স এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায় না।


Post a Comment

Previous Post Next Post